উদ্যোক্তা হওয়ার প্রথম ধাপ কি - উদ্যোক্তা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ মডিউল

 উদ্যোক্তা হওয়ার প্রথম ধাপ কি জেনে নিলে সুনির্দিষ্ট একটি পরিকল্পনা করতে পারবেন। এই পোস্টের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রথম ধাপ কি এই বিষয়ে আলোচনা করা হবে। ধাপে ধাপে এগিয়ে যাওয়ার জন্য উদ্যোক্তা হওয়ার প্রথম ধাপ কি এটি সম্পর্কে জেনে অনুসরণ করতে পারেন।

প্রথম ধাপটি জেনে নিলে কোন বিষয়ের উপর শুরু করবেন এবং প্রতিদ্বন্দ্বীদের সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা পেতে পারেন। এছাড়াও বিজনেস মডেল কিভাবে তৈরি করবেন তার একটি রোডম্যাপ জেনে নিয়ে তার সম্পর্কে সঠিক ধারণা প্রথম থেকেই করতে পারবেন এবং লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে যেতে পারবেন।

পেজ সূচিপত্র

উদ্যোক্তা উন্নয়ন বলতে কি বুঝায়

আপনি যদি নিজের কর্মসংস্থান বের করতে চান, তাহলে কারো অধীনস্থ না থেকে যদি নিজেই কোন ধরনের ব্যবসা শুরু করে দিয়ে থাকেন তাহলে সেটিকে উদ্যোক্তা বলা হয়। এই অবস্থায় আপনি যদি অন্য কাউকে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ করে দেন, সেইক্ষেত্রে অনেক লোক কাজ করার সুযোগ পেয়ে থাকে।
এই অবস্থায় আপনি ধীরে ধীরে শত বাধা পেরিয়ে যখন প্রতিষ্ঠানকে দাঁড় করাবেন, ধীরে ধীরে আপনার উন্নয়নের যাত্রা শুরু হতে থাকবে। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে পরিবেশ অনুকূলে না থাকলে ব্যবসা করে উন্নতি করাটা অনেক কঠিন হয়ে যায়। এইক্ষেত্রে দৃঢ় মনোবল ও সাহসিকতার সাথে এগিয়ে যেতে হবে।

উদ্যোক্তা হওয়ার প্রথম ধাপ কি

সাফল্যের শুরুতে উদ্যোক্তা হতে গেলে অবশ্যই বাস্তবতার কঠিন ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার পরীক্ষা দেয়া লাগতে পারে। উদ্যোক্তা হওয়ার প্রথম ধাপ কি তার বিস্তারিত হলো -

১। আপনার মধ্যে প্রথমে নিশ্চিত করতে হবে যে উদ্যোক্তা হওয়ার কোন ধরনের বৈশিষ্ট্য আপনার মধ্যে আছে কিনা অর্থাৎ নিজেকে যাচাই করতে হবে।

২। ব্যর্থতাকে খুব সহজে মেনে নেওয়ার মতো আত্মবিশ্বাস আপনার মনে তৈরি হয়েছে কিনা তা বুঝতে হবে।

৩। উদ্যোক্তা হওয়ার প্রথম ধাপ কি জেনে নিয়ে সবসময় কিন্তু আপনি অনুকূল পরিবেশ পাবেন না মাঝে মাঝে কঠিন পরিস্থিতি আসতে পারে।

৪। একজন উদ্যোক্তাকে প্রথম ধাপে যদি কোন কারণে ব্যর্থ হয়ে যায় তাহলে ব্যর্থতাকে মেনে নিয়ে নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে।

৫। আপনাকে একটি ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে যে আপনি আপনার গ্রাহকদের মন সঠিকভাবে জয় করতে পারছেন কিনা এটি নিশ্চিতকরণ করতে হবে।

৬। আপনাকে সব সময় লক্ষ্য অর্জনে যথেষ্ট আগ্রহী হয়ে কাজ করতে হবে যেন কোন ধরনের অনীহা না আসে।

৭। উদ্যোক্তা হওয়ার প্রথম ধাপ এর মধ্যে একটি হল কঠোর পরিশ্রম করা, যার মাধ্যমে আপনি আপনার সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছাতে পারেন।

৮। আপনাকে প্রথম ধাপে অবশ্যই সততা এবং ন্যায়পরায়ণতার সাথে কাজ শুরু করতে হবে।

কিভাবে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হওয়া যায়

আপনি চাইলে আপনার ব্যবসাকে প্রথমে ক্ষুদ্রভাবে শুরু করতে পারেন, যার মাধ্যমে আপনি একজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে পারেন। আপনি যদি একজন ছাত্র বা চাকরিজীবী যেটিই হোন না কেন আপনার অবসর সময়ে আপনি ক্ষুদ্র ব্যবসা করে মাসে অনেক ভালো টাকা উপার্জন করতে পারেন।

অনেকেরই দেখা যায়, পড়াশোনার খরচ চালাতে অনেক কষ্ট হয়ে যায়। সেইক্ষেত্রে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রথম ধাপ কি এবং উদ্যোক্তা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ মডিউল জেনে অবসর সময়ে ক্ষুদ্র ব্যবসা করে নিজেকে একজন উদ্যোক্তা করে ঘুরে তুলতে পারেন। আপনি চাইলে এই ক্ষুদ্র ব্যবসা ঘরে বসেও করতে পারেন। এইক্ষেত্রে আপনার জন্য অনেক সুবিধা হতে পারে।

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হতে অনলাইন বিজনেস এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যার মাধ্যমে আপনি ড্রেস বিক্রি করে অথবা খাবার বিক্রি করে এবং ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের খাবারের রেসিপি ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে উপার্জন করতে পারবেন এবং ধীরে ধীরে উপার্জন বাড়তে থাকবে।
প্রথম থেকেই যদি আপনি ব্যবসাটি দাঁড় করানোর জন্য অনেক সমস্যায় পড়ে যান, তাহলে হাল ছেড়ে না দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। অনেক সময় প্যাকেজিংয়ের কাজ করেও অনেক ভালো টাকা উপার্জন করতে পারেন যা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হওয়ার একটি বিশেষ উপায়।

কোন ধরনের বিনিয়োগ না খাটিয়ে এই প্যাকেজিংয়ের কাজ আপনি করতে পারেন। এটি খুবই সুবিধাজনক এবং লাভজনক একটি ব্যবসা। বিভিন্ন পণ্যের ক্ষেত্রে অথবা খাবার বিক্রি এবং শপিংমল গুলোতেও প্যাকেটের প্রয়োজন হয়ে থাকে। এই প্যাকেটগুলো বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি থেকে তৈরি করা হয়।

আপনি যদি উদ্যোক্তা হওয়ার প্রথম ধাপ কি জেনে একজন উদ্যোক্তা হতে চান, বিশেষ করে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হতে হলে আপনি প্যাকেজিং তৈরির কাজ শুরু করতে পারেন। এইক্ষেত্রে আপনি ধীরে ধীরে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা থেকে একজন বড় ধরনের উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে পারবেন।

উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য কি ধরনের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন

সঠিকভাবে একজন উদ্যোক্তা হওয়ার প্রথম ধাপ কি জেনে উদ্যোক্তা হয়ে গড়ে উঠতে হলে অবশ্যই আপনাকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। আর সেই প্রশিক্ষণের জন্য বেশ কিছু সরকারি এবং বেসরকারি কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেখানে অনেক উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গড়ে তোলা হয়।

বিশেষ করে উদ্যোক্তাদের তৈরি করা হয় এবং পাশাপাশি লোন দেয়া হয়ে থাকে। অনেকেরই ইচ্ছে হয় উদ্যোক্তা হওয়ার কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, তারা সঠিক প্রশিক্ষণের অভাবে উদ্যোক্তা হতে ব্যর্থ হয়ে যায়। উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য কি ধরনের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন হতে পারে চলুন সেই সম্পর্কে জেনে নিই।

১। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরঃ 
যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে যেখানে আপনি হাঁস মুরগির খামার তৈরি থেকে শুরু করে মৎস্য চাষ, সবজি বাগান করা, নার্সারি করা এবং সেলাইয়ের কাজে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। এছাড়াও কুটির শিল্প ও কম্পিউটারের কাজও রয়েছে।

যেহেতু এটি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে পরিচালিত হয়। তাই দেশের প্রতিটি থানায় এর কেন্দ্র রয়েছে। এই কেন্দ্রের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রথম ধাপ কি জেনে যারা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে চান তারা প্রশিক্ষণ নিতে পারেন।

২। জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণঃ 
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পরিচালিত হয় এমন একটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমী। এখানে বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এবং কম্পিউটার চালনা শেখানো হয়। এই প্রশিক্ষণকে সঠিকভাবে গ্রহণ করে।

উদ্যোক্তা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ মডিউল জেনে শিক্ষিত বেকার যেসব যুবক যুবতী রয়েছে তাদের কর্মসংস্থানের বিশাল সুযোগ সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে এখানে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান খুলে ভালো টাকা আয় করতে পারেন।

৩। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনঃ 
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প নামে এক ধরনের কর্পোরেশন রয়েছে। যেখানে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আপনি নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন।

৪। মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ঃ 
এখানে মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য একটি উন্নয়ন কর্মসূচি প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এখানে গ্রামের শিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত, দুস্থ মহিলাদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। মহিলা উদ্যোক্তা যারা রয়েছেন।

তারা উদ্যোক্তা হওয়ার প্রথম ধাপ কি জেনে কারিগরি দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কারিগরি উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে পারেন। যেহেতু এখানে কারিগরি উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে।

৫। পল্লী উন্নয়ন বোর্ডঃ 
গ্রামের নারী পুরুষদের জন্য আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে এই পল্লী উন্নয়ন বোর্ড কাজ করে থাকে। যার মাধ্যমে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা স্বাধীনভাবে উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে পারে এবং খুব ভালোভাবে উপার্জন করতে পারে। এই প্রশিক্ষণটি জেলা ও উপজেলায় বিআরডিবির কার্যক্রমে হয়ে থাকে।

৬। বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টঃ 
এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি বিশাল স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির ফলে আপনি একজন সফল উদ্যোক্তা হয়ে গড়ে উঠতে পারেন। এই উদ্যোক্তা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ মডিউল কর্মসূচির মধ্যে ক্ষুদ্র শিল্প প্রক্রিয়া ও ব্যবস্থাপনা রয়েছে।

নতুন শিল্পকে কিভাবে প্রতিষ্ঠা করবেন সেই বিষয়ে উদ্যোক্তা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ মডিউল নিতে পারবেন এবং মহিলা উদ্যোক্তা উন্নয়নও রয়েছে।

৭। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশনঃ 
আপনি যদি একজন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ নিতে চান, তাহলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন থেকে উদ্যোক্তা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ মডিউল নিতে পারেন। এখানে বিভিন্ন ধরনের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।

উদ্যোক্তা হতে হলে কি করতে হবে

উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য আপনার মন মানসিকতা খুবই শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে। দেখা যায় প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষ করে পরিবারের দায়িত্ব নিতে চায়। কিন্তু সেইক্ষেত্রে চাকরি খুঁজতেই থাকে কিন্তু চাকরি খুঁজে পায় না। এইক্ষেত্রে তরুণরা চাকরি না খুঁজে সে চাইলে নিজেই একজন উদ্যোক্তা হয়ে গড়ে উঠতে পারে।

উদ্যোক্তা হয়ে গড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজন সঠিক গাইডলাইন। আর সেই গাইডলাইন যদি সে সঠিকভাবে অনুসরণ করে, তাহলে সে তার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে। অবশ্যই উদ্যোক্তা হওয়ার প্রথম ধাপ কি জেনে একজন উদ্যোক্তাকে চ্যালেঞ্জ নেওয়া শিখতে হবে। চ্যালেঞ্জকে নিজের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজে লাগাতে হবে।
নিজের উপর যথেষ্ট ঝুঁকি নেওয়ার মন মানসিকতা রাখতে হবে এবং নিজের উপর আস্থা রাখতে হবে। নিজের ভেতরের ভয়কে দূর করে দিতে হবে। যদি সে তার নিজের ভয়কে দূর করতে না পারে, তাহলে সে একজন সঠিক উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে পারবে না। নিজ লক্ষ্যকে অনুধাবন করে একজন বিজনেস পার্টনার নির্ধারণ করতে হবে।

যেন আপনার প্রতিষ্ঠানকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। মূলধন নিয়ে সঠিক পরিকল্পনা থাকতে হবে এবং গ্রাহক নির্ধারণে সচেষ্ট হতে হবে। পাশাপাশি নিজের নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করে যেতে হবে। প্রত্যাশাকে সীমিত রেখে গ্রাহকদের কাছে তাদের পছন্দকে প্রাধান্য দিতে হবে।

উদ্যোক্তা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ মডিউল জেনে প্রতিনিয়ত শেখার চেষ্টা করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে। যদি কখনো এই অবস্থায় উদ্যোক্তা হওয়ার প্রথম অবস্থায় আপনি ব্যর্থতায় চলে আসেন, তাহলে নিজেকে পুনরায় পরিশ্রম এবং মেধা দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

উদ্যোক্তা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ মডিউল

উদ্যোক্তা উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণ মডিউল সম্পর্কে জ্ঞান রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই মডিউলের উপর ভিত্তি করে আপনি আপনার সফল হওয়ার পথকে সহজ করতে পারেন। উদ্যোক্তা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ মডিউল সম্পর্কে চলুন জেনে নিই।

১। অবশ্যই আপনি উদ্যোক্তা হওয়ার প্রথম ধাপ কি জেনে যখন একজন উদ্যোক্তা হতে চাইবেন তখন আপনার মধ্যে কিছু উদ্দেশ্যকে উপস্থাপন করতে হবে। যেমন আপনি কোন বিষয়ের উপর নিজেকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে দেখতে চান।

এইক্ষেত্রে অনেক ধরনের প্রজেক্ট থাকতে পারে। আপনার যেই ধরনের প্রজেক্টে কাজ করার ইচ্ছা সেই ধরনের প্রজেক্টে নির্বাচন করতে পারেন।

২। অবশ্যই যিনি উদ্যোক্তা বা সেবা দানকারী হয়ে থাকেন, তাকে প্রশিক্ষণের সময়সীমা সম্পর্কেও ধারণা নিয়ে যেতে হবে। এই অনুযায়ী সেটি হতে পারে কয়েক মাস বা কয়েক দিন। সঠিকভাবে প্রশিক্ষণের সময়সীমা জেনে প্রস্তুতি নিতে হবে।

৩। প্রশিক্ষণ পদ্ধতির ওপর বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। এইক্ষেত্রে অবশ্যই এর মধ্যে দলীয় কাজের দিকে খেয়াল রেখে অগ্রসর হতে হবে। প্রশ্নোত্তর পদ্ধতি থাকতে হবে, ব্রেইন স্টর্মিং করতে হবে এবং ঘটনাকে ভালোভাবে বিশ্লেষণ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে।

৪। বিভিন্ন ধরনের বিষয়ের উপর দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণ চালিয়ে যেতে হবে। এইক্ষেত্রে অবশ্যই অধিবেশনের পরিকল্পনা এবং পরিচালনা পদ্ধতিকে খুব ভালোভাবে পর্যালোচনা করে যেতে হবে। শিরোনাম ও সময়সীমা উদ্দেশ্য করে এইসব বিষয়ের উপর বিশেষ দখল রাখতে হবে।
 ‌
৫। প্রতিটি অধিবেশনকে কেন্দ্র করে অবশ্যই মডিউল ব্যবহারের বিধিকে অনুসরণ করতে হবে। অধিবেশন পরিচালনার জন্য এই অধিবেশনের প্রয়োজনীয় কিছু সামগ্রিক ব্যবস্থা রয়েছে। যা দলীয় কাজের নির্দেশনা অনুযায়ী সংযুক্ত করা হয়ে থাকে।

৬। একজন প্রশিক্ষক যখন প্রশিক্ষণ কোর্সটি পরিচালনা করবেন তখন অবশ্যই তাকে কিছু উপকরণসমূহ রাখতে হবে। সেখানে হতে পারে রেজিস্ট্রেশন ফর্ম, নোটবুক, চার্ট পেপার, মার্কার, কলম, হোয়াইট বোর্ড, ফেস্টুন, পাওয়ার পয়েন্ট স্লাইড, ব্যাজ, ফ্লাশ কার্ড ইত্যাদি আরও অনেক কিছু রাখতে হবে।

৭। এই প্রশিক্ষণ মডিউলের পাশাপাশি অবশ্যই একজন প্রশিক্ষকের করণীয় বিষয় সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। অবশ্যই সকলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, নমনীয় ও নিরপেক্ষ থাকতে হবে। প্রশিক্ষণ প্রার্থীদের নিজেদের মধ্যে কোন আলোচনা করছে কিনা সেটি খেয়াল রাখতে হবে।

উদ্যোক্তা হওয়ার প্রথম ধাপ কি জেনে নিয়ে ধৈর্যশীল ও সহানুভূতিশীল হতে হবে এবং সংবেদনশীল বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। নিজের উপর আত্মবিশ্বাস অর্জন করে ধীরে ধীরে প্রশিক্ষণের মডিউলের কর্মসূচি শেষ করতে হবে।

শেষকথা

আশা করছি উদ্যোক্তা হওয়ার প্রথম ধাপ কি হতে পারে এবং উদ্যোক্তা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ মডিউল জেনে উপকৃত হয়েছেন। যদি বিস্তারিত জেনে ভালো লেগে থাকে তাহলে আশেপাশের বন্ধুদের শেয়ার করতে পারেন। পোস্টের নিচের অংশে মন্তব্য করে আমাদের পাশেই থাকুন। ২৫২৭৫

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url