ঘুম না আসলে কি করা উচিত

ঘুম না আসলে কি করা উচিত এ সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। কেননা আজকেরে আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব ঘুম না আসলে কি করা উচিত এই সম্পর্কে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে ঘুম না আসলে কি করা উচিত এ সম্পর্কে জেনে নিন।

ঘুম না আসলে কি করা উচিত এ সম্পর্কে আপনাদের জন্য নিচে ধাপে ধাপে আলোচনা করা হয়েছে। যার মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই ঘুম না আসলে কি করা উচিত এ সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই আর বিলম্ব না করে চলুন ঘুম না আসলে কি করা উচিত এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।

পেজ সূচিপত্রঃ ঘুম না আসলে কি করা উচিত

ভূমিকা

ঘুম মানে হল মানসিক ও শারীরিক প্রসস্তি অবস্থা, যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ঘুমের সময় মানসিক ও শারীরিক প্রশস্তি উন্নয়ন হয় এবং আরাম পায় শরীর এবং মন। সাধারণত প্রতিদিন মানুষের সময়ের মধ্যে সর্বাধিক ৮ ঘণ্টা ঘুম পাড়া উচিত। ঠিকমত ঘুম না পারলে মানুষের স্বাস্থ্য এবং সমস্ত পরিবার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কাজকে আপেক্ষিক ভাবে প্রবাহিত করতে পারি।

ঘুম না আশা এক ধরনের সমস্যা হতে পারে এবং এর কারণে মানসিক এবং শারীরিক সমস্যা হতে পারে। আশা করি আপনি আজকের এই আর্টিকেল পড়ে খুব সহজে বুঝতে পারবেন ঘুম না আসলে কি করা উচিত।

ঘুম না আসলে কি করা উচিত

অনেকে অনিদ্রা জনিত রোগে ভুগে থাকেন। অনেকেই বলেন, রাতে ঠিকমত ঘুম হয় না ও অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন। এতে চোখ ব্যথা হয়ে যায়। কিন্তু এ অনিদ্রা কেন হয়? ঘুমানোর আগে কিছু নিয়ম-কানুন অনুসরণ করলে অনিদ্রা সমস্যা দূর হতে পারে। চলুন তাহলে ঘুম না আসলে কি করা উচিত এ সম্পর্কে জানা যাক।
ঘুম না আসলে কি করা উচিত তার উপায় গুলো নিম্নে দেওয়া হলো-
  1. নিয়মিত শারীরিক কাজ করা এবং যথাযথ খাদ্য গ্রহণ করা।
  2. ঘুম না আসার কারণ গুলি জানা, এটি মেডিকেল সমস্যার জন্য হতে পারে তবে মানসিক চাপ একটি কারণ হতে পারে।
  3. ঘুম কেন আসে না সে সম্পর্কে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
  4. শান্তি এবং স্বস্তি বজায় রাখা, রাতে ঘুমানোর জন্য আপনার বিছানার পরিবেশটি পরিষ্কার এবং শান্ত করে রাখা উচিত।
  5. ঘুমানোর জন্য আপনি একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করতে পারেন, প্রতিদিন একই সময়ে ঘুম আসার অভ্যাস করলে হয়তো আর অনিদ্রারই করে পড়তে হবে না।
  6. আপনি যদি আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করেন ঘন ঘন তাহলে আপনার ঘুম কম হবে তা থেকে বিরত থাকুন।
  7. ঘুম না আসার জন্য শান্তি ও সাধনা খুব গুরুত্বপূর্ণ, আপনি যদি নিয়মিত ধ্যান প্রার্থনা করেন তবে এটি আপনার সমস্যার সমাধানের সাহায্য করতে পারি।
  8. আপনি যদি দৈনন্দিন জীবনে কোন কাজ না করে থাকেন তাহলে আপনার ঘুম না আসার কারণ হতে পারে, দৈনন্দিন জীবনে কোন না কোন কাজ করার চেষ্টা করুন।
  9. আমাদের জন্য স্বাস্থ্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই নিয়মমাফিক খাদ্য পানি পান করতে হবে এটা আপনার ঘুম ভালো হবে। এবং এটি আপনার শরীরের ক্ষমতা উন্নয়নের সহায়তা করবে।
  10. নির্দিষ্ট সময় বিশ্রাম নিন এবং উঠুন, নিয়মিত সময় ঘুম অনুসরণ করা উচিত।

রাতে ঘুম না আসার রোগের নাম

সুস্থতার জন্য চাই পর্যাপ্ত ঘুম। সারাদিনের পরিশ্রমের পর নির্বিঘ্ন ঘুম দিতে পারে প্রশান্তি। সঠিক ঘুম না হলে মনের উপর চাপ পড়ে। বিষন্নতা ও ক্লান্তি ভর করে। এক পর্যায়ে বড় ধরনের রোগ ব্যাধি দেখা দেয়। 'ইনসনিয়া' শব্দটির সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। এর বাংলা অর্থ হচ্ছে-অনিদ্রা বা নিদ্রাহীনতা।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ডিপার্টমেন্ট অফ সাইক্রিয়াটির সহকারী অধ্যাপক ডা. আহসান উদ্দিন আহমেদ।

'ইনসনিয়া' হচ্ছে- একটি অনিদ্রা জনিত রোগ বা এক ধরনের Sleep disorder, যাতে ঘুমের পরিমাণ অথবা ঘুমের গুণগত মান এদের যেকোনো একটি বা উভয়টিতে সমস্যা থাকে। একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ দিনের মধ্যে করে প্রায় ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমায়। এটি একটি স্বাভাবিক অবস্থা, কিন্তু যেসব রোগী এই রোগে আক্রান্ত তাদের ক্ষেত্রে ঘুমের পরিমাণ অনেক কমে যায় কিংবা ঘুমানোর পরও রবি ফ্রেশ ফিল করেন না বা রোগের মধ্যে একটা জীবনী ভাব কাজ করতে থাকে।

 'ইনসনিয়ামূলত দুই রকম হয়-
  1. প্রাইমারি ইনসনিয়া- যার কোন সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।
  2. সেকেন্ডারি ইনসনিয়া- ইনসনিয়া যখন অন্য কোন কারণে অর্থাৎ কোন মানসিক বা শারীরিক রোগের কারণে হয়- মানসিক চাপ বা টেনশন ইত্যাদি।
ইনসনিয়া থেকে মুক্তির উপায় কি চলুন এই বিষয়ে এবার জেনে নেওয়া যাক। 

ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি ইনসনিয়া দুই ধরনের প্রাইমারি অ্যান্ড সেকেন্ডারি। প্রথমে প্রাইমারি ইনসনিয়া চিকিৎসা বিষয়ে আসি। যেহেতু এর সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া অনেক সময় সম্ভব হয় না। তাই এর চিকিৎসা প্রক্রিয়াটি অনেক জটিল ও কষ্টসাধ্য। প্রাইমারি ইনসনিয়া চিকিৎসা প্রক্রিয়াটিকে আমরা দুই ভাগে ভাগ করতে পারি- 
  1. সাইকোথেরাপি
  2. ফার্মাকোথেরাপি
এবার সেকেন্ডারি ইনসনিয়া চিকিৎসায় আসা যাক। সেকেন্ডারি ইনসনিয়া চিকিৎসা তুলনামূলকভাবে সহজ। চিকিৎসার মাধ্যমে ইনসনিয়ার কারণটি দূর করতে পারলে ঘুম স্বাভাবিক হয়ে আসে। এ ক্ষেত্রে স্বল্প মেয়াদে কিছু সিডেভিট জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করা প্রয়োজন, তা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হতে হবে।

শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে গেলে পর্যাপ্ত এবং পরিতৃপ্ত ঘুম একান্ত প্রয়োজন। তাই ইনসনিয়ার কার্যকারী চিকিৎসা প্রয়োজন।

ঘুম না আসার ঔষধ

আমরা এতক্ষণ জানছিলাম ঘুম না আসলে কি করা উচিত। এবার আপনারা জানতে পারবেন ঘুম না আসার ঔষধ সম্পর্কে। ঘুম না আসায় কি সমস্যা যা কোন কারণে হতে পারে। কিছু মানসিক অবস্থার ফলও এটি হতে পারে, যেমন চিন্তা বা মানসিক চাপার রোগ জীবাণুর কারণে। সে ক্ষেত্রে ঔষধ ব্যবহার করা উচিত।
ঘুম না আসার জন্য অনেক ধরনের ঔষধ বিভিন্ন প্রযুক্তিতে ব্যবহার করা হয়, যেমন-বেনজিন, আমিট্রিপ্টিলিন, টেমাজেপাম ইত্যাদি। এদের মধ্যে কিছু ঔষধ সম্পূর্ণভাবে বিশ্রামের জন্য উপযুক্ত নয় এবং কিছু ঔষধ স্বাস্থ্য সম্পর্কে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে তাই ঔষধের ব্যবহার পূর্ববর্তী চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে করা উচিত।

এছাড়াও ঘুম না আসার জন্য কিছু পরামর্শ হলো- নিয়মিত কাজ করা, ভালো খাবার খেতে হবে, নিয়মিত গোসল বা মেডিটেশন করা।

কি খেলে রাতে ঘুম আসে না

ঘুম নেই আমরা প্রায় সমস্যায় ভরে থাকি আর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে থাকি ঘুম না আসলে কি করা উচিত। আমাদের কিছু খাদ্যের ভুলের কারণেও আমাদের ঘুম আসে না। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কি খেলে রাতে ঘুম আসে না। সুস্থ থাকার জন্য যা কিছু আমাদের দরকারি তার মধ্যে একটি হলো ঘুম। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শরীরে নানা রকম ক্ষতি হয়ে থাকে।

অনেক সময় ক্লান্তি থাকলেও ঘুম আসতে চায় না। এর জন্য দায়ী হতে পারে আপনার খাবারের তালিকা, আপনি হয়তো না জেনে এমন সব খাবার খাচ্ছেন যা আসলে আপনার ঘুম না আসার জন্য দায়ী। প্রত্যেক বেলার খাবারই সচেতন থাকতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন খাবার গুলো নিদ্রাহীনতা ডেকে আনে-
  1. এড়িয়ে চলুন তেল ও মসলাযুক্ত খাবার: তেল-মশলাদার খাবার খেতে নিশ্চয়ই পছন্দ করেন, সুস্বাদু বলে এ ধরনের খাবারের লোভ এড়িয়ে চলা সম্ভব হয় না অনেক সময়। কিন্তু আপনারা কি জানেন এই তেল জাতীয় খাবারের জন্য আপনার ঘুম না আসার কারণ। অতিরিক্ত তেল ও মসলাযুক্ত খাবার খেলে তা সহজে হজম হতে চাই না, ফলস্বরূপ পেটে গ্যাসের সমস্যা দেখা। দেয় রাতে শান্তি মত ঘুমাতে চাইলে তেলযুক্ত খাবার পরিহার করুন।
  2. খুব বেশি কপি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন: প্রতিদিন অন্তত এক কাপ কফি খান এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। নানাভাবে আমাদের শরীরের জন্য উপকার বয়ে আনে এই পানীয়। ক্লান্তি, স্ট্রেস, দূর করতে এর জুরি মেলা ভার। কিন্তু এই কফি বেশি খাওয়ার কারণে হতে পারে আপনার রাতের ঘুম হারানোর কারণ। প্রয়োজনের বেশি কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  3. দূরে রাখুন কোমল পানীয়: আমাদের শরীরের জন্য মোটে উপকারী নয় একথা আমরা প্রায় সবাই জানি। কিন্তু এরপরও কোমল পানি ও খান না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কোমল পানি নামে হলেও এটি আমাদের শরীরের জন্য মোটেও কোমল আচরণ করে না। বরং কোনো না কোনো ক্ষতি করে থাকে, কোমল পানি ও শরীরের রক্ত চলাচলে বাধাগ্রস্ত করে এবং ঘুমের উদ্রেক করা হরমোনের উৎপাদন বাধাগ্রস্থ করে এতে থাকা গ্যাসীয় কমপাউন্ড এবং অতিরিক্ত চিনি।
  4. ফাস্টফুড বাট দেন: ক্ষুধা পেলে দ্রুত পেট ভরানোর জন্য আমরা সাধারণত ফাস্টফুডের দিকে হাত বাড়ায়। কিন্তু এসব খাবার আমাদের শরীরের জন্য মোটে উপকারী নয়, এসব খাবার উচ্চ চর্বিযুক্ত তাই এগুলো খেলে পেটে এসিড তৈরি হতে পারে। এগুলো ঘুম না আসার জন্য তাই। শান্তিতে ঘুমাতে চাইলে ফাস্টফুড বাদ দিন।
  5. ঘুমের আগে চকলেট নয়: আপনি যতই চকলেট প্রেমী হন না কেন, ঘুমের আগে চকলেট থেকে দূরে থাকবেন। কারণ চকলেটও ঘুম না আসার জন্য দায়ী হতে পারে। ডার্ক চকলেট ডে ক্যাফেইন থাকে। তাই ঘুমের আগে চকলেট খেলে ঘুম ধরে পালাবে।

ঘুম আসে না কেন

অনেকে ঘুমের সমস্যায় ভোগেন। রাতে বিছানায় শোয়ার পর ছটফট করতে থাকেন কিন্তু কোন ভাবে ঘুম আসে না। এর কারণ সম্পর্কে ডাক্তার নিয়াজ মোহাম্মদ খান বলেন, ঘুম না আসার সমস্যা গুলোকে যদি আমরা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় দেখতে চাই, তাহলে দেখতে পারবো যে আসলে প্রাইমারি ইনসমোনিয়া বা প্রাইমারি ভাবে যেসব কোন সমস্যা হয়, সেগুলোতে আসলে বিশেষভাবে কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না, সেটা হচ্ছে ঘুমের মোট সমস্যার ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। 
এছাড়া বিভিন্ন পারিবারিক সামাজিক সমস্যার জন্য ঘুম না আসতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন মানসিক সমস্যা যেমন- বিষন্নতা, ডিপ্রেশন, একাকীত্ব, মানসিক চাপ এর কারণে ঘুম না আসতে পারে। সাধারণত এই সমস্যাগুলো বেশিরভাগ তরুণ-তরুণী বিয়ের ভিতরে দেখা যায়। বিভিন্ন খাদ্যা বাসের কারণেও ঘুম না আসতে পারে।

ঘুম বৃদ্ধির উপায়

চলুন জেনে নেওয়া যাক ঘুম বৃদ্ধির উপায় গুলো কি।

ঘুম বৃদ্ধির উপায় জন্য কিছু পরামর্শ নিচে দেওয়া হল-
  1. প্রতিদিন একই সময় ঘুমাতে যান এবং একই সময় ঘুম থেকে উঠুন, ছুটির দিনগুলো তো ঘুমের একই রুটিন বজায় রাখুন।
  2. তরল খাদ্য সন্ধ্যার পর থেকে কমিয়ে দিন, ঘুমের অত্যন্ত দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার সেরে ফেলুন।
  3. নিকোটিন কফি ও অ্যালকোহল সন্ধ্যায় পরিহার করুন, কফি পান করলে ঘুমের আট ঘণ্টা আগে করতে হবে।
  4. প্রতিদিন অল্প বিস্তার ব্যায়াম করুন, প্রতিদিনের হালকা অ্যারোবিক ব্যায়াম আপনাকে একটি সুন্দর উপহার দিতে পারি।
  5. সাধারণত রাতে ঘুমাবেন, দুপুরের ঘুম কিন্তু রাতের বিশ্রামাগী কেড়ে নিতে পারে।
  6. আরামদায়ক পিছনেও নরম বালিশ বেছে নিন, আর কেউ যদি আপনার সাথে সয় তবে দেখতে হবে দুজনের জন্য প্রজার্ত জায়গা আছে কিনা।
  7. শিশু বা পোষা প্রাণীর সঙ্গে একই বিছানায় ঘুম কখনো ব্যক্তির ঘুমের মূল কারণ হতে পারে না।
  8. একই কথা প্রতি রাতে মনকে শোনান এখন সব বন্ধ করে আমি ঘুমাবো।
  9. যখন আপনি ক্লান্ত ও ঘুমে ভেঙে পড়ছেন তখনই আলো বন্ধ করুন এবং ঘুমাতে যান।
  10. ঘুমের ঔষধ শুধু শেষ অবলম্বন হিসেবে রাখুন চিকিৎসকের পরামর্শে শুধু ঘুমের ঔষধ খেতে পারেন, কখনোই নিজে থেকে খাবেন না।

ভালো ঘুমের জন্য কি করা উচিত

আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি ঘুম না আসলে কি করা উচিত। ভাল ঘুমের জন্য কি করা উচিত এ সম্পর্কে আমার অনেকে খোঁজ করে থাকি। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক ভালো ঘুমের জন্য কি করা উচিত।
  1. প্রথমত, ঘুমোনোর অন্তত দু'ঘণ্টার থেকে কাজ সমস্ত চিন্তাকে নিজের থেকে দূরে রাখুন। নিজের সাথে একটু সময় কাটান, টিভি দেখুন, সিনেমা দেখুন, কি কি কাজ সামনে সপ্তাহে করবেন তার একটা লিস্ট করুন, বা রান্না করতে ভালো লাগলে রান্না করুন।
  2. এছাড়া শুতে যাওয়ার আগে এক কাপ চা খেতে পারেন, কিংবা হালকা গরম পানিতে গোসল করতে পারেন এতে ক্লান্তি ধুয়ে যায়।
  3. আপনার ফোন থেকে শুরু করে যাবতীয় ইলেকট্রনিক জিনিস অফ করুন, কারণ এই ইলেকট্রনিক থেকে যে রেডিয়েশন হয় তা আমাদের শরীরের জন্য ঠিক নয়।
  4. বাদাম বা দই খেতে পারেন ঘুমের আগে এটা মেলাটোনিন নিঃসরণে সাহায্য করে।
  5. ঘুমের ১০ থেকে ১৫ মিনিট আগে অল্প মেডিটেশন করতে পারেন।
  6. ঘরে লাল আলো জ্বালাতে পারেন কারণ গবেষণাতে দেখা গিয়েছে লাল আলো মেলাটোনিন নিঃসরণ বাড়ায় এবং ঘুমাতে সাহায্য করে।
এই নিয়ম গুলি মেনে চললে ঘুমের সমস্যা অনেকটাই কমতে পারে এবং ভাল ঘুম হতে পারে এমনই বলেছেন বৈজ্ঞানিকরা।

আশা করি আপনি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন ঘুম না আসলে কি করা উচিত সম্পর্কে। আশা করি আপনার নিদ্রা জনিত সমস্যা হলে আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হবেন এবং ঘুম না আসলে কি করা উচিত তার নিয়ম ভাবে মেনে চলবেন।

এমন সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইট অর্ডিনারি আইটি ভিজিট করতে পারেন।
আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ২৪১৪২

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url